স্বল্প আকারে পোশাক কারখানা খোলার পক্ষে সিপিডি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জিনিয়েছেন যে, সমস্ত স্বাস্থ্য নিয়মনীতি প্রতিপালন করে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সিপিডি\’র \”রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৭ম বার্ষিকী-কোভিড-১৯: সংকটের মুখে শ্রমিক ও মালিক – সরকারি উদ্যোগ ও করণীয়\” ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের এখন মূল কথা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে চলা। আমরা এখন কোভিড-১৯ এর এমন জায়গায় পৌঁছে গেছি। চিকিৎসকরা বলছেন মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আমরা চতুর্থ স্তরে থাকবো। যেটা কিনা খুবই ভয়াবহ। মে মাসের মাঝামাঝি আমাদের সর্বোচ্চ সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এই সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিধান রাখতে হবে। যদি তৈরি পোশাক কারখানা খুলতে হয় তবে সমস্ত ঝুঁকি এড়িয়ে বিধি মেনে কাজ করতে হবে। \’

তিনি আরো বলেন, কারখানায় কতটুকু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, কতগুলো লোক কাজ করতে পারবেন, সেই সমস্ত স্বাস্থ্য জনিত নিয়ম কানুন মেনে সীমিত আকারে খোলা যেতে পারে।দিনের অর্ধেক সময় বাইটার্ন এভাবে করে কিন্তু সীমিত আকারে খোলা যেতে পারে। কিন্তু এখন প্রথম কাজ হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করা। কারণ এই সময় করোনা ছড়িয়ে যায় তাহলে ফিরে ফিরে আসবে। আমরা বার বার শুনেছি করোনা আমাদের সহজে ছাড়বে না।\’

অর্থনৈতিক কাজগুলো সীমিত আকারে চালু প্রসঙ্গে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখব সেটাও না। আমি মনে করি একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটি না। উন্নত দেশগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দিচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কোনো কোনো এলাকায় শিল্প খাত খুলে দিয়েছে। আবার কোনো কোনো এলাকা লকডাউনে। যদি তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দিতে হয় তাহলে সমস্ত স্বাস্থ্য নিয়মনীতি প্রতিপালন করে সীমিত আকারে খুলে দিতে হবে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করবো সেটাই আসল বিষয়। আগে খুলে দিলে পরে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়লে তখন মোকাবিলা করতে পারবো না। সুতরাং এটা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।\’

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংশ্লিষ্টরা ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

Scroll to Top