দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪১৪ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৪১৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ১৮৬ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীরা সাতজন পুরুষ এবং দুইজন নারী। এঁদের সবাই ঢাকার। তাঁদের বয়স ষাটোর্ধ চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিন হাজার ৯২১টি। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৪১৬টি। আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি ঢাকার। সর্বাধিক আক্রান্ত বিবেচনায় এর পরের জেলাগুলো হলো নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদী। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের পুরুষ ৬৮ শতাংশ এবং নারী ৩২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুলেটিনে ঢাকা শহরে সর্বাধিক আক্রান্তের ১০টি স্থান উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো পর্যায়ক্রমে রাজারবাগ, মোহাম্মদপুর, লালবাগ, যাত্রাবাড়ি, বংশাল, চকবাজার, মিটফোর্ড, উত্তরা, তেজগাঁও এবং মহাখালী। ঢাকার এই ১০টি স্থানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১২৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন মোট ৯৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৮ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৬২২ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন তিন হাজার ৪২৯ জন। আর এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৪৬৩ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৮ জন। এ পর্যন্ত মোট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে সাত হাজার ৮৮৭ জনকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিআর-এর  হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার ৯৯৯ জনকে এবং এ পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৫০২ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বুলেটিনে।

Scroll to Top