মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে গাছ লাগানোর শর্তে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুকূলে চাল ও নগদ অর্থ এবং শিশুখাদ্য কিনতে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত সম্ভাব্য করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য ৬৪ জেলায় চাল, নগদ অর্থ এবং শিশুখাদ্য কেনা বাববদ অর্থ বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এদিন পর্যন্ত ৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ বিতরণের জন্য ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কিনতে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
ত্রাণসামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে তা বিতরণ করা যেতে পারে। এছাড়া প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারী কমপক্ষে ৫টি করে গাছ লাগাবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকরা দুযোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা, ২০১২-২০১৩ অনুসরণপূর্বক এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকাকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
মঞ্জুরি করা বরাদ্দের ব্যয় চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের রিলিফ অপারেশন রিহ্যাবিলিটেশন (অন্যান্য) ত্রাণকার্য (নগদ) এবং শিশুখাদ্য খাত হতে নির্বাহ করা হবে বলে জানানো হয়।
শিশু খাদ্য ক্রয়ের শর্তাবলিতে বলা হয়, শিশু খাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর, ২০০৮-সহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্ক ভিটার উৎপাদিত গুঁড়োদুধ চলমান কাজে ত্রাণসমাগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। বরাদ্দ করা অর্থ বর্ণিত ক্রয় ব্যতিত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সংশ্রিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে মানবিক সহায়তার বিভিন্ন খাতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত বরাদ্দের ব্যয় বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।