করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চারটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে ব্রিটিশ নাগরিকরা। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে এ সব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পর্যটক, স্বল্পমেয়াদী দর্শনার্থী এবং তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য ঢাকা থেকে লন্ডন পর্যন্ত চারটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বর্তমানে সিলেটে থাকা ব্রিটিশ দর্শনার্থীর জন্যও এই ফ্লাইটের আগে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে।
প্রতিবছর কমপক্ষে দেড় লাখ ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বিমানের বিধিনিষেধের কারণে বর্তমানে বাণিজ্যিক বিমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার সুযোগ নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাজ্যসহ আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট স্থগিতাদেশ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। চায়না সাউদার্ন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এখনও চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তবে সেগুলো কেবল চীনা নাগরিকদের জন্য।
এসব বিমান পরিচালনার ব্যয় যতটা সম্ভব কম রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ঢাকা বা সিলেট যেখান থেকেই যাত্রা শুরু করুন না কেন, জনপ্রতি বিমান ভাড়া পড়বে ৬০০ পাউন্ড।’
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি যে আমরা এই বিশেষ কার্যক্রমটি শুরু করতে পেরেছি। ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি আনন্দিত যে, খুব শিগগিরই আপনারা নিজ দেশ যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন’।
প্রতিটি ফ্লাইটের টিকিট বুকিং ওই ফ্লাইট ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিমানবন্দরে টিকিট বিক্রি হবে না। ঢাকা বা সিলেট বিমানবন্দরে ভ্রমণের সময় সবাইকে অবশ্যই ফ্লাইট নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত কাগজ এবং পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে।
ভ্রমণ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘একবার আপনার বুকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো চেক পয়েন্টে কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য আপনাকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের একটি নথিও প্রদান করা হবে।
এরকরোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এর আগেও বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।