করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা দেশ। প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা তৈরি পোশাকশিল্প কারখানা সমূহ লে-অফ ঘোষণা করতে সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠনটি সকল কারখানা লে অফ হিসেবে গণ্য করে সরকারকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে বলেছে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানোপত্রে এই অনুরোধ করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়ে মহামারী রূপ নেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। এছাড়াও ক্রেতারা উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট না করা এবং মজুদকৃত ফেব্রিক্স না কাটার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়, তখন কারখানা মালিকদের ধারণা ছিল স্বল্প সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়া যাবে।
তাই মালিকরা শ্রম আইনের কোনও ধরনের ধারা উল্লেখ না করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। কেউ বা আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধ ঘোষণা দেয়। যদিও এ ধরনের পরিস্থিতিতে ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোনও বিধান নেই।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করছেন। এপ্রিল মাসের মজুরি হিসাবকালে সরকার কর্তৃক ঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্রহণের আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে যে সকল কারখানা কোনও ধরনের ধারা উল্লেখ না করে এবং যে সকল কারখানা আইনের ১২ এবং ১৭ ধারার বিধান উল্লেখ করে ঘোষণা দেয়, সে সকল কারখানা লে অফ হিসেবে গণ্য করে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।