সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে শুকনো কাশি ও জ্বর লক্ষ্য করা যায়। পরে এই মারণ ভাইরাস ফুসফুসে তাণ্ডব চালায়। করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশন থাকতে বলা হচ্ছে। আঘাতের চিহ্নের মতো দেখা দিতে পারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার চিহ্ন। পায়ের আঙুলে আঘাত পাওয়ার পর যেমন অবস্থা দেখা দেয়, করোনায় আক্রান্ত হলেও তেমন আকার ধারণ করতে পারে।
করোনায় ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেন। দেশটির চিকিত্সা বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে তদন্ত করছেন এই বিষয়টি নিয়ে। যাদের মধ্যে ভাইরাস রয়েছে তাদের পায়ে ক্ষুদ্র ক্ষত চিহ্ন বা আঘাতের চিহ্নের মতো কিছু রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার স্পেনের জেনারেল কাউন্সিল অব অফিশিয়াল পডিয়েট্রিস্ট কলেজ একটি বিবৃতি শেয়ার করেছে। সেখানে বলা হয়, বেশ কয়েক জন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর পায়ে ক্ষত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পায়ে কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। এগুলো দেখতে বেগুনি বর্ণের আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষতের মতো। চিকেনপক্স, হাম বা চিলব্লেনের সাথে খুব মিল রয়েছে এসব চিহ্নের। সাধারণত পায়ের আঙুলের ওপর এগুলো দেখা গেছে। তবে কোনো রকম চিহ্ন না রেখেই এগুলো আবার ভালো হয় যায়।
করোনায় আক্রান্ত কিশোর ও শিশুসহ অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই ক্ষতগুলো বেশি দেখা গেছে। তবে কয়েক জন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এগুলো ছিল। এই বিয়ষটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা আক্রান্তের পায়ের চিহ্নটি প্রথম ধরা পরে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের শরীরে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, কিশোরটির পায়ে হয়তো মাকড়সা কামড়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন পরই তার মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।