করোনাভাইরাসে দেশে ভয়াল থাবা বসাতে শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাস আমাদের দেশেও ভয়াল থাবা বসাতে শুরু করেছে। আর এজন্যই ঘরের বাইরে নববর্ষের সব অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

ইতঃপূর্বে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও জনসমাগম এড়িয়ে রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচার করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানও আমরা একইভাবে উদযাপন করব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো। কবিগুরুর কালজয়ী গান ‘‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” গেয়ে আহ্বান করবো নতুন বছরকে। অতীতের সকল জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আমরা সামনে দৃপ্ত-পায়ে এগিয়ে যাব; গড়ব আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যত।’

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। তাই কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় তাই বলতে চাই: মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়/আড়ালে তার সূর্য হাসে/হারা শশীর হারা হাসি/অন্ধকারেই ফিরে আসে।

সমগ্র বাংলাদেশে এবং প্রবাসে বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন। রাজধানীতে রমনা পার্ক, চারুকলা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নগরীর নানা স্থান মানুষের ভিড়ে মুখরিত থাকে এদিনটি। গ্রামীণ মেলা, হালখাতাসহ নানা অনুষ্ঠানে গোটা দেশ মেতে উঠে।

এবার সবাইকে অনুরোধ করবো কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজ-সহ নানা মওসুমী ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।

নতুন বছরে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনবাক্যে প্রার্থনা, মহামারীর এই প্রলয় দ্রুত থেমে যাক। আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সবাইকে আবারও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

Scroll to Top