বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে থাবা বসিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্টে। বাংলাদেশেও এরই মধ্যে থাবা বসিয়েছে মারণ এই ভাইরাস। তবে বাংলাদেশে এর প্রভাব এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৬২১টি।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ৭টি বিভাগের ৩৪ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলায় ২২ জন, গাজীপুরে ২৩, কিশোরগঞ্জে ১০, মাদারীপুরে ১৯, মানিকগঞ্জে ৫, নারায়ণগঞ্জে ১০৭, মুন্সীগঞ্জে ১৪, নরসিংদীতে ৪, রাজবাড়ীতে ৬, টাঙ্গাইলে ২, শরীয়তপুরে ১ এবং গোপালগঞ্জে ৩ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ১২ জন, কক্সবাজারে ১, কুমিল্লায় ৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬, লক্ষ্মীপুরে ১ ও চাঁদপুরে ৬ জন। সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় ১ জন, হবিগঞ্জে ১ এবং মৌলভীবাজারে ১ জন।
রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় ২ জন, গাইবান্ধায় ৬, নীলফামারীতে ৩, লালমনিরহাটে ১ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, জামালপুরে ৬, নেত্রকোনায় ১ ও শেরপুরে ২ জন। বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায় ৩ জন, পটুয়াখালী ১ জন এবং ঝালকাঠিতে ৩ জন।
আইইডিসিআর’র তথ্যে দেখা যায়, ঢাকায় করোনা হটস্পট হচ্ছে মিরপুর। সেখানে ৫২ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। মিরপুরের টোলারবাগ সর্বোচ্চ আক্রান্ত এলাকা, সেখানে ১৯ জন করোনা আক্রান্ত। তারপরেই রয়েছে মিরপুর-১১, সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন।
মিরপুরে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এমন অন্যান্য এলাকা হচ্ছে— মিরপুর-১২ (৮ জন), মিরপুর-১ (৫ জন), মিরপুর-১০ (৫ জন), মিরপুর-৬ (২ জন), মিরপুর-১৩ (২ জন) এবং কাজীপাড়া (১ জন)।
মিরপুর ছাড়াও যেসব এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে: উত্তরা (১৭ জন), ওয়ারী (১৬ জন), ধানমণ্ডি (১৪ জন), লালবাগ (১৩ জন), মোহাম্মদপুর (১২ জন), বাসাবো (১২ জন), যাত্রাবাড়ী (১১ জন ), কদমতলীতে (১) জন এবং হাজারীবাগ (৮ জন)। রাজধানীর বনানী, বংশাল ও মহাখালীতে সাত জন করে কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর ৫৪ এলাকা লকডাউন করেছে বলে জানা গেছে। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আইইডিসিআরের তথ্যে সেখানে ১০৭ জন করোনা আক্রান্ত।