বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো একজন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত। সুস্থ হয়েছেন আরো চারজন। এর মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর। অন্য দুজনের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। চারজনের মধ্যে একজন ডাক্তার, একজন নার্সও রয়েছেন। নতুন যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একজন নারী। বয়স ২০ এর ঘরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫৩ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। তিনি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, সর্বশেষ সুস্থ হওয়া চার ব্যক্তির কারও কারও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছিল। এরপরও তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন আরও বলেন, গত দু’দিন দেশে কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় অনেকে মনে করেছেন বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত। কিন্তু এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। যত দিন সারা বিশ্বে শূন্যের কোটায় না আসবে, তত দিন প্রতিটি প্রতিরোধ কার্যক্রম অনুসরণ করতে হবে। সাধারণ জনগণের প্রতি আবেদন আপনারা ঘরে থাকুন, আপনারা বের হবেন না। ঘরে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। সরকার যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সে আপনাদের ভালোর জন্য দিয়েছে। নিতান্ত বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে যাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আজ পর্যন্ত দেশে মোট ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন।
এর আগে মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দেশে ৫৫ হাজার মানুষ এখন কোয়ারেন্টিনে। কোয়ারেন্টিন মুক্ত করা হয়েছে ২৯ হাজার। বাকিরা এখনও আছেন। ঢাকা শহরে ৮টি সরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত।
মীরজাদী জানান, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে থাকা ৩৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭২৫টি কল এসেছে আইইডিসিআরে।
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। তখন বলা হয়, এই তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাঁদের কাছ থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।