প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য চীন থেকে আজ শুক্রবার বিকেলে আরও ৩০ হাজার কিট এসেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে এই কিট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস। নতুন এই কীট অনুদান হিসেবে দিয়েছে চীনের অনলাইন বিপণন প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন। চীন থেকে আসা এই দ্বিতীয় চালানে রয়েছে- ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পিপিই ও ১ হাজার থার্মোমিটার। বিশেষ বিমানে আসা এসব সরঞ্জামের বক্সের গায়ে লেখা ছিল ‘ভালোবাসার নৌকা পাহাড় বাইয়া চলে।’
কীটের অভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে পরীক্ষার ধীর গতির অভিযোগ শুরু থেকেই। অনেকের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ থাকার পরও পরীক্ষা করার সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ পর্যন্ত দেশে হাজারখানেক মানুষের পরীক্ষা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে ৪৮ জনের মধ্যে। মারা গেছেন পাঁচজন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা এবং আইইডিসিআরের কর্মীরা রোগ শনাক্ত করেন। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জনবল কম। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য সব জায়গায় মানুষ পাঠাতে পারছে না আইইডিসিআর।
প্রথম দফায় বাংলাদেশকে দুই হাজার কিট ও চিকিৎসাসামগ্রী দিয়েছিল চীন।
এর আগে ভারত সরকার ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ১৫ হাজার হেড কভার বাংলাদেশকে দিয়েছে। বুধবার ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে এই সহায়তা হস্তান্তর করেন।