করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে। আজ থেকে কাউকেই রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না, থাকলেও পড়তে হবে জেরার মুখে। আজ থেকে লোকজন যাতে রাস্তায় বের না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে।
জানাযায়, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে লোকজন যাতে রাস্তায় বের না হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছেন আইজিপি।
বুধবার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন পাঁচজন।
এ ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় টহল দেওয়ার কাজ করছেন না সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। এ কারণে তাঁদের উপস্থিতি কম চোখে পড়ছে।