আজ বাংলার সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জন্মশতবার্ষিকী’। আজ বাঙালি জাতির আনন্দে পুলকিত হওয়ার দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির জন্মদিনে দেশের ১৬ কোটি মানুষ বিনম্র শ্রদ্ধা, সালাম আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাতে উদগ্রীব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সেদিন ছিল ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার। রাত ৮টার দিকে মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে আসেন ইতিহাসের মহানায়ক; বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুজিববর্ষ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৮ মিনিটের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করে চলে যাওয়ার পর সর্বসাধারণের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সর্বস্তরের মানুষ সেখানে ফুল দেন।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তরুণরাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। যারা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের নাম মুছে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইতিহাসের খরস্রোতায় ১৯২০ সালের সেদিনের মতো শতবছর পর আজকের দিনটিও মঙ্গলবার। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণিল আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ববন্ধুর’ জন্মদিন উদযাপন করবে পুরো জাতি।