বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ১০ হাজার হজ কোটা বাড়িয়েছে সৌদি আরব। এর ফলে আগামী বছর এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি আরবের হজ ও উমরা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাত। এই বৈঠকেই চুক্তি সম্পাদিত হয়।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০২০ সালের হজে বাংলাদেশের হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ১০হাজার। এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সর্বনিম্ন সংখ্যা ১০০ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যা ৩০০ বহাল থাকছে। শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। মদিনা থেকে হজ ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া হজ এজেন্সিগুলোর জন্য এআইটিএ সনদ থাকার শর্তারোপ করা হচ্ছে না। প্রত্যেক হজযাত্রীর ইনসুরেন্স কভারেজ দিবে সৌদি সরকার।
রুট টু মক্কার ন্যায় ফিরতি হজযাত্রীদের জন্য রুট টু ঢাকার সুবিধা চালু করার বিষয় রয়েছে। এছাড়া পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধি এবং উন্নত করার আশ্বাস রয়েছে। এবারও মিনায় দ্বিতল খাট না রাখার বিষয় উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে ।
হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী নাজমুল হক সৈকত এসব কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম,সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, কনসাল জেনারেল, জেদ্দা এফএম বোরহান উদ্দিন, কাউন্সেলর (হজ) জেদ্দা মো. মাকসুদুর রহমান ছিলেন।