অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই।
এখন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশের উদাহরণ তুলে ধরে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে করতে হয় তা বাংলাদেশ থেকে শিখতে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া দীঘিরপাড় টিআইকে মেমোরিয়াল মাঠে আয়োজিত উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরাই সংগঠনের প্রাণ। সকল শক্তির মূল উৎস তারাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দায় রয়েছে। ছাত্রলীগ বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে, দেশাত্মবোধকে সর্বাগ্রে লালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন, ছাত্রলীগকে সেই স্বপ্নপূরণে সহায়ক হতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের অর্জন অনন্য। দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে অদম্য গতিতে। দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার কথা আমরা সে পরিমাণে পাই না।
এর কারণটা হলো, সেখান থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর কোনো সহজ রাস্তা নেই। সেজন্য প্রবাসীরা ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স পাঠান। এটিকে বৈধ পথে আনার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রবাসীরা যাতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স দেন সেজন্য ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে আমাদের রেমিট্যান্সে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এটা সম্ভব হচ্ছে এই ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কারণে। আয়কর খাতে রাজস্ব অনেক বেড়েছে। ট্যাক্স রেভিনিউ কম আছে।
তবে নির্ধারিত সময়ে সেটা আমরা পূরণ করতে পারব। বছরের শেষে আমরা রাজস্ব আদায়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে সেটা অর্জন করতে পারব। রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধির মূল জায়গা হচ্ছে ভ্যাট। ভ্যাট আদায়ের জন্য আমরা দ্রুত ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসানোর চেষ্টা করছি। মেশিন বসালে আমাদের ভ্যাট আদায় অনেক গুণ বেড়ে যাবে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রনেতা মো. কামাল হোসেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব অপি, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারওয়ার, সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া, লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ মিত্র সিংহ রতন, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু প্রমুখ।