পরিবহন ধর্মঘট আর নেই বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমস্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কোনও কারণ নাই। কথাবার্তা হয়ে গেছে। আইন প্রয়োগে অহেতুক বাড়বাড়িও হবে না এবং বাড়াবাড়িটা না হলে সমস্যা হবে না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির এক সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে যদি কোন কিছু অসঙ্গত হয় তাহলে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে আমরা বিধিমালা প্রণয়ন করছি। সেটা আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব। পরিস্থিতি এখন আর অস্বাভাবিক হওয়ার কোন কারণ নেই। সব কিছুই আলাপ আলোচনার মধ্যেদিয়ে সমাধান হয়েছে। কার্ভাড ভ্যান ইতোমধ্যে তাদের যাতায়াত শুরু করে দিয়েছে।
\’সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ\’-বিএনপির এই সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি\’র অবস্থান নেতিবাচক। রাজনীতির কারণে নাজুক অবস্থায় তারা নিপতিত। এখন নেতাকর্মীদেরকে চাঙ্গা রাখার জন্য তাদের অনেক মিথ্যাচার করতে হয়। সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলতে হয়। এবং বলার জন্যই বলছে, বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা করছে।
তিনি আরও বলেন, যে নেত্রীর কথা বলে আজকে আমাদের উপদেশ দিচ্ছে তার সঙ্গে আলাপ করার জন্য সে নেত্রীর জন্য তারা কী কোথাও রাজপথে উত্তাপ সঞ্চার করতে পেরেছে। একটা আন্দোলনও করতে পেরেছে। তাদেরতো কোথাও কোনও সাফল্য নাই। তারা আজকে বেপরোয়া চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতি করছে। বেপরোয়া রাজনীতি করে তারা দুর্ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে অভ্যন্তরণী গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায় তার চর্চা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনও দল করে এটা আমার জানা নেই। বড় দলগুলো তো করেই না। দুটি বড় দলেই দেখা যায় সেক্রেটারী সকালে আছে বিকেলে নাই। কোনো পদে যে কাউকে যেকোনো সময়েই তারা নিয়ে আসতে পারেন। এটা আমাদের দলে সম্ভব না। আমাদের সভাপতির কাছে কিছু দায়িত্ব দেওয়া আছে তিনি যেটা করেন সেটাও তিনি নির্বাহী কমিটিতে পাশ করান। আমাদের যে নির্বাহী কমটি আছে, সেটা ছাড়া তিনি পাশ করাতে পারেন না। গঠনতন্ত্রে যদি কোন পরিবর্তন আনতে চান সেটা কাউন্সিল ছাড়া সম্ভব না। আমাদের এখানে বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ডের নির্বাচনও একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করি।
আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় কাউন্সিলে সংস্কৃতি আয়োজন বেশি সময়ের জন্য করা হবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সম্মেলনের চেয়ে দল থেকে মুজিববর্ষ আয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসীম কুমার উকিল, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খাঁন পাঠান ফারুক, সাংস্কৃতিক উপ কমিটির সদস্য সাইফুল আজম বাশার, লিয়াকত আলী লাকী, আহকামুল্লাহ, আশরাফুল আলম খোকন, মেহের আফরোজ শাওন, জায়েদ খান, এসডি রুবেল, নুরুল আলম পাঠান মিলন, জয়দেব নন্দী, আশিক রণো প্রমুখ।