খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন যে, পরিবহন ধর্মঘট ৭ থেকে ১০ দিন চললেও ঢাকায় চালের দাম বাড়বে না। আজ সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র কারণ (দাম বাড়ার) নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।
গণমাধ্যমে চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জেনেছেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চালের মজুদের কোনো ঘাটতি নেই। মিল মালিক ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে, মজুদের কোনো ঘাটতি নেই, আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই, রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত আছি।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা। খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেওয়া হবে না। পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বেলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, মিল মালিকদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করলাম, কোনো কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়নি, প্রান্তিক দুর্যোগের কারণে ধানের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে, তবে বাজার এখন স্থির দিকে আসছে। আমন ধান একবারে উঠলে এ রকম হতো না।