তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলে জানিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে জাতি হিসেবে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই আধুনিক ও পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এখনই শিল্প, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকার সবাইকে সম্মিলিতভাবে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ তৈরির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মিলনায়তনে ইউজিসি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের জাপানসহ বিভিন্ন দেশের আইটি শিল্পের জন্য কর্মসংস্থান উপযোগী করে গড়ে তুলতে কোর্স-কারিকুলাম তৈরি বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রোভিসি, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, বিভাগীয় প্রধান, আইটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকেরা অংশ নেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঢাকার জাপান দূতাবাসের মন্ত্রী হিরোইকি ইয়ামায়া, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের ঢাকার প্রতিনিধি ইউজি অ্যানদো অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। আগামী দিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি হবে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। জ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বিশ্বের অন্যতম উদ্ভাবনীয় আইটি শিল্পসমৃদ্ধ দেশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক আইটি পেশাদার জাপানে কাজ করছেন। প্রতিবছর জাপানে ২ লাখ আইটি পেশাদার জনবল প্রয়োজন হয়। কিন্তু জাপানের জনসংখ্যা বিপুল সংকট রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ভোগ করছে।
তাই এই সুবিধাকে কাজে লাগাতে জাপানসহ বিভিন্ন দেশের আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট অব থিংস, রোবটিকস, ইমার্জিং ও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোর্স কারিকুলাম তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।