উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বুলবুল পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূল দিয়ে সমতলে আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। উপকূলের আটটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে বুলবুলের বেগ আরও বেশি। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, আজ সন্ধ্যা নাগাদ যখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলে আঘাত হানবে, সেই সময়টায় এসব অঞ্চলের নদ-নদী গুলো এবং সাগরে জোয়ার থাকবে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধির প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা বেশি হবে। তিনি জানান, উপকূলের আটটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা ও চাঁদপুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
আরিফ হোসেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দেশের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে হয়ে যাবে। এর প্রভাবে কাল রোববার ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের পর্যটন ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বাপ্পী বলেন, ‘ঝড়টি সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে শুনছি। এতে বড় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকায় আমরা বিপদে পড়ে যাব। কারণ গতকাল এখানে জোয়ার শুরু হয়েছিল বিকেল পাঁচটায়। আর পূর্ণ জোয়ার হয় রাত সাড়ে আটটায়। তাই সন্ধ্যায় আঘাত হানলে জোয়ার বেশি হয়ে বড় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর আর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।