জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের ফেরাতে আগামী দিনগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাসস
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যারা খুনি, তাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। যাদের দণ্ড কার্যকর হয়নি, তারা বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য জোরদার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। এই কূটনৈতিক প্রয়াস সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইনে সমস্যা আছে। অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান নেই। যারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে তারা ফাঁসির আসামি। ফাঁসির আসামি বিধায় তাদের ফিরিয়ে আনতে অসুবিধা হচ্ছে। তবুও বিভিন্ন দেশে যারা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, উচ্চ পর্যায়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়।
আরও পড়ুন: জেলহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, কলঙ্কজনক রক্তাক্ত দু’টি ঘটনা- ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, এরপর ৩ নভেম্বর। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন ও নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়ার ঘৃণ্য অভিলাষে আমাদের জাতির চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের চারজন প্রথম সারির সংগঠককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, তাদের যে স্বপ্ন, শহীদদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া এটা আমাদের অঙ্গীকার।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের হত্যা করে।
জাতীয় এ চার নেতা হলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামান।