অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন যে, গ্রামীণফোন ও রবির কাছ থেকে পাওনা আদায়ের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে। আদালতের মাধ্যমে হলে উভয় পক্ষের জন্যই ভালো হবে। আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কয়েক দফা বৈঠক হওয়ায় পর আদালতের বাইরে একটা সমাধানের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি। আলোচনাও আর এগোয়নি। আর মামলা আগেই হয়ে গেছে। মামলা হয়ে গেলে নিষ্পত্তি করতে আদালতের মাধ্যমেই করতে হয়।
অর্থমন্ত্রী এও বলেন, ‘আমরা মনে করি আদালতে না গিয়ে বাইরে সমাধান হওয়া উচিত। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর আমরা সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছিলাম। সরকারি মনোভাব না দেখিয়ে আন্তরিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে ধরনের সহযোগিতা পাইনি। টাকা দেবে, টাকা দেবে বলে অনেক দিন অপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখানে ১০-২০ টাকার ব্যাপার নয়, অনেক টাকার ব্যাপার। আমাদের দাবি একটা পরিমাণ, তাদের হিসাবে পরিমাণ আরেকটা। এর মধ্যে পার্থক্য বিশাল। ছোট ছোট অঙ্ক হলে নিজেরা বসে সুরাহা করা যেত।
গ্রামীণফোন ও রবিকে ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। তারা চুক্তিও করল। কিন্তু হয়নি। তাদের মনে হয় আবার পর্ষদ বৈঠক করতে হবে।’
নিষ্পত্তির এমন উদ্যোগে আপনার প্রাপ্তি কি-জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রাপ্তি হচ্ছে চেষ্টা করেছি। আমার করণীয় আমি করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি।’