‘ধান-চাল কেনার সময় কিছু মধ্যস্বত্বভোগী সুযোগ নেয়। এসব বন্ধ করতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মিলার চিহ্নিত করে তাদের মাধ্যমে চাল কিনছি। ধান-চাল কেনার ব্যাপারে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না’ বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন সবাই মিলে খাদ্য সন্ত্রাস বন্ধ করি। খাদ্য নিয়ে লুটপাট, অনিয়ম, ভেজাল মিশ্রনসহ কোন প্রকার সন্ত্রাসী কাজ করলে সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন শেখ হাসিনার সরকার তাকে ক্ষমা করবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি অডিটরিয়ামে নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য সারাদেশে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন দুইশ’ পেডি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে, এরমধ্যে ২৫টি হবে রংপুরে। এতে করে কৃষকরা যতোই ভেজা ধান দিক, সরাসরি সাইলো ফেনিং মেশিনে এক ঘণ্টার মধ্যে ধান শুকিয়ে রাখা যাবে। ফলে আমরা একই ধরনের চাল পাবো যা বিদেশে রফতানি করা যাবে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন আর মঙ্গাপীড়িত নয়। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা মোট ক্ষমতার অনেক বেশি চাল কিনেছি, যার পরিমাণ চার লাখ টনেরও বেশি।
মন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুর জেলা প্রশাসকের হলরুমে রংপুর বিভাগের ডিলার, খাদ্য কর্মকর্তা,কৃষি কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম, ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহামুদ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা শারওয়ার, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবীর, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুলসহ খাদ্য ও কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।