কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয় :হাসান জয়ের ব্যাটে

এবার আর আক্ষেপ সঙ্গী হলো না মাহমুদুল হাসান জয়ের। দল জিতলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে রাজ্যের হতাশায় পুড়তে হয়েছিল। কিন্তু, এবার ঠিকই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। আর তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯ দলের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আট উইকেটের বড়ো জয় পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ জিতে গেল আকবর আলীর দল। এর আগে প্রথম দুই ওয়ানডের দুটোতেই বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধান ছিল ছয় উইকেটের।

নিউজিল্যান্ডের লিংকরে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় সফরকারী বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। শুরুতে চাপে পড়ে গেলেও, নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন এক প্রান্ত আগলে থাকা ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফার্গুস লেলম্যান ।

পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ছোটো ছোটো জুটি গড়তে থাকেন তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-এ অন্য ব্যাটসম্যানরা বড়ো ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। তবে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন লেলম্যান। সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত ১১৬ রানে নিউজিল্যান্ডকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন লেলম্যান। এতে ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২২৩ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১৩৩ বল মোকাবিলা করে নিজের ইনিংসটি সাজান লেলম্যান। বাংলাদেশের তানজিম হাসান সাকিব-অভিষেক দাস-হাসান মুরাদ দুটি করে উইকেট নেন।

জিতলেই সিরিজ জয়, এমন সমীকরণে ২২৪ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ডানহাতি ওপেনার অনিক সরকার সেতু এক রান করে থামেন। পরে শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও জয়।

দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রান যোগ করেন তারা। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তানজিদ। অর্ধশতকের পরও ইনিংস বড়ো করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু নামের পাশে ৬৫ রান রেখে আউট হন তানজিদ। তার ৬৪ বলের ইনিংসে আটটি চার ও একটি ছক্কা ছিল।

দলীয় ১০১ রানে তানজিদের আউটের পর ক্রিজে জয়ের সঙ্গী হন তৌহিদ হৃদয়। দক্ষতার সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মোকাবিলা করতে থাকেন জয়-হৃদয়। তাই সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। ৭৯ বল বাকি থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৫ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেন জয়। তার সঙ্গী হৃদয় ৫৯ বল মোকাবিলায় আটটি চারে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। একই ভেন্যুতে আগামী নয় অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।