আকের কিশোরা আগামী দিনে একটি দেশের ভবিষ্যৎ।আর তারাই ঝুঁকছে বিভিন্ন অপরাধের দিকে।রাজধানীতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং কালচার। এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পড়ছে বড় অপরাধে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েকটি গ্যাং এর সদস্য। র্যাব বলছে, কিশোর অপরাধ কমাতে কাজ করছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিশোর অপরাধের দায় নিতে হবে পরিবার আর রাষ্ট্রকেই।
২০১৭ সালের জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় স্কুল ছাত্র আদনান হত্যার পর আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং।
ডিসকো বয়েস, নিউ নাইন স্টার, নিউ আইকনসহ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং, আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এলাকা ভিত্তিক অপরাধ, প্রভাব বিস্তার ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সম্প্রতি ধরা পড়ে গাজীপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্র শুভ হত্যার চার আসামী। এরা সবাই কিশোর গ্যাং এর সদস্য। সোমবার টঙ্গীর তুরাগ থেকে গ্রেপ্তার হয় নিউ নাইন স্টার গ্রুপের ১১ সদস্য। যাদের প্রায় সবার বয়স ২০ এর নিচে।
কেন বাড়ছে কিশোর অপরাধ, কেন গ্যাং কালচারে জড়িয়ে যাচ্ছে শিশু কিশোররা। গ্যাং এর সদস্যরা বলছে, এলাকায় ক্ষমতা আর প্রভাব খাটাতে গ্রুপে নাম লেখায় তারা।
র্যাবের কর্মকর্তা সারোয়ার বিন কাসেম বলছেন, প্রথমে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য হলেও, পরবর্তীতে এরা ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ জড়িয়ে পড়ে বড় অপরাধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আকিব উল হকের মতে, পরিবারের সঠিক নজরদারির অভাবে বাড়ছে কিশোর অপরাধ।
সেই সাথে শিশু কিশোরদের সামাজিক অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সাইকিয়াট্রি ডা. মেখলা সরকারের।