বাংলাদেশের বড় দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রামীণফোন ও রবির যা হাজার হাজার মানুষ ব্যবহার করে।সেই দুইটি প্রতিষ্ঠানের টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল কর হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস ইস্যু করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা অনুযায়ী মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে নোটিসে।
পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিতকরণ ও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বন্ধ করার পরে অপারেটর দুটিকে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে এ চিঠি পাঠালো বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোনকে এবং ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে রবিকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দু’টিকে দুই সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়। বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়, গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় বিটিআরসির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ৪ জুলাই অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়। এরপর এই আদেশ প্রত্যাহার করে এনওসি দেওয়া বন্ধ করা হয়।