বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন ,সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় ।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা কী আবার সেই বাকশালে ফিরে যাবো। কোনো দিনও নয়। আজকে এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, ট্যাক্স বাড়িয়েছে। কিন্তু জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে গোটা খাতটি ধ্বংস করে দিয়েছে। পত্রিকায় এসেছে তারা ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ১৮ মাস ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দিয়েছে। তারা মনে করেছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে। কিন্তু আজকের এই র্যালি প্রমাণ করেছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তারা দমন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশনেত্রীকে আটকে রেখে, জনগণকে মামলা দিয়ে, হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সেজন্য দেশের সব মানুষকে একত্রিত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হঠাতে হবে।
এ সময় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালা আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।