কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুজন হলো, মোস্তফা (৩২) ও আব্দুল আজিজ (২১)। মোস্তফার বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের এবং আজিজের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ধর্ষক মোস্তফাকে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। অপর দিকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আব্দুল আজিজকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটক মোস্তফা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার জয়পুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। আব্দুল আজিজ একই উপজেলার ভিংলাবাড়ী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই শনিবার উপজেলার কেওটগাঁও গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় মোস্তফা। পরদিন ৭ জুলাই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত মঙ্গলবার রাতে মুরাদনগর থানার এসআই রিপনসহ একদল পুলিশ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকা থেকে মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।
অপর দিকে, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে আবদুল আজিজ নামের এক যুবক পথরোধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মুরাদনগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, পৃথক দুইটি ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মোস্তফা ও আব্দুল আজিজকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক