‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে কর্মশালা

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। পত্তাশী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল ‘নাগরিক মতামতের ভিত্তিত’ আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে করণীয়।

উক্ত কর্মশালায় ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে নাগরিক মতামতের ভিত্তিতে করণীয় নিরুপণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।

কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ টু আই এর পরিচালক (ই-সার্ভিস) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল। কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম।

‘আমারগ্রাম – আমারশহর’ পাইলটিং ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৮টি বিভাগের ৮টি ইউনিয়নকে নির্বাচন করে। এর মধ্যে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পাইলটিং এর প্রস্তুতি শুরু হলো।

কর্মশালায় পত্তাশী ইউনিয়নের কৃষক, শিক্ষক, ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ১৪৪ জন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের এটুআই-এর বিভিন্ন সেবার ভিত্তিতে ১২টি বিষয়ভিত্তিক দলে ভাগ করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ সম্পৃক্ত বিষয়ভিত্তিক দলগুলোতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেকটি দলের কাছ থেকে প্রথমে তাঁদের বর্তমান জীবন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সংকটসমূহ জানতে চাওয়া হয়।

এরপর অংশগ্রহণকারীরা গ্রামে শহরের কী কী নাগরিক সুযোগ সুবিধা পেতে চান এবং কীভাবে পেতে চান তা একটি বোর্ডে লিপিবদ্ধ করেন। বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে নিজেদের জীবনযাপনের চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা এটুআই কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেন তারা এবং এটুআই কর্মকর্তারা নাগরিক সুবিধা সম্বলিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন। কর্মশালার অধিবেশনসমূহ পরিচালনা করেন এটুআই-এর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট খন্দকার শাহ্‌নূর সাব্বির ও ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদহোসেনবলেন, বর্তমান সরকারের আমার গ্রাম-আমার শহর বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার, সেটি শুরু হলো আমাদের পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর পত্তাশী থেকে। পুরো জেলার জন্য এটিগর্বের বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, আমার গ্রাম-আমার শহর সারাদেশে সফলভাবে বাস্তবায়িত হোক।

অধিবেশনের শুরুতে প্রধান আলোচক এটু আই এর পরিচালক (ই-সার্ভিস) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পিএএ বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের আমার গ্রাম আমার শহর অঙ্গীকারের মূলকথা হলো- গ্রামে বসেই একজন নাগরিক শহরের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে জীবনমান উন্নত করতে পারবেন। সেই স্বপ্নের শুরুতে আজ আমরা প্রত্যাশিত শীতে এসেছি। আমরা চাই, আমার গ্রাম আমার শহরের বাস্তবায়ন এই পত্তাশী থেকেই শুরু হোক। আশা করি, ২০২১ সালে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ উদযাপন করার জন্য ২০২০ সালের মধ্যেই শহরের সকল সেবা গ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হবে”।

পিরোজপুরজেলারপুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, ইন্দুরকানী উপজেলার চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান, আয়োজক পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানহাওলাদার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী পত্তাশী ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।

Scroll to Top