বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে শনিবার বিকেলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৬ জুন বুধবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে নয়ন বন্ড-রিফাত ফরাজী বাহিনী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে গত ৩ জুলাই গ্রেফতারের পর কোর্টের মাধ্যমে তিন দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ১ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের সময়ের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে রিফাত ফরাজীকে রামদা উচিয়ে রিফাত শরীফকে কোপানোর দৃশ্য ধরা পড়ে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মিন্নি ও রিফাত ফরাজীসহ ১৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯-৭-১৯) আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি হত্যা পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন কিনা তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। শুক্রবার মিন্নির জবানবন্দি গ্রহণকালীন সময় আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির বাবা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পুলিশ আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে শিখানো কথা জবানবন্দিতে বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে’।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে, এমন অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোন গতি নাই। তিনি বলেন, ঢাকার আইন ও শালিস কেন্দ্র থেকে আইনজীবীরা আসার খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘরি করে আমার মেয়ের ৫ দিন রিমান্ডের দু’দিন শেষ না হতেই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। মামলাটিকে নিরপেক্ষ ও সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে ন্যস্ত করার দাবি জানান।