চরফ্যাশনে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত পাঁচজন জেলের লাশ দাফন করা হয়েছে। শনিবার সকালে জিন্নাগড় ইউনিয়নের উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের জামে মসজিদে জানাযা শেষে নিহতদের লাশ দাফন করা হয়। এছাড়া দাফন করা হয় রসুলপুর ইউনিয়নে দুইজন জেলের লাশ। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন জেলে।
এক সঙ্গে যাদের লাশ দাফন করা হয়েছে তারা হলেন, উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. মাসুদ (৩৮), একই এলাকার মৃত বুর্জুগ হাওলাদারের ছেলে অজি উল্লাহ (৩৮), মৃত নুরের ছেলে অলি উল্যাহ (৫০), পূর্ব মাদ্রাজ গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে বাবুল (৩২), একই এলাকার তরিক মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)।
অন্যদিকে, রসুলপুর ইউনিয়নে দাফন করা হয়েছে রসুলপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আসলাম পাটওয়ারীর ছেলে শামছুদ্দিন পাটওয়ারী (৪৫) এবং রসুলপুর ৬নং ওয়ার্ডের মুসলিম বলির ছেলে জাহাঙ্গীর বলির (৪০) লাশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ উপকূলে বঙ্গোপসাগরের টেংরার চর এলাকায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের সাতজন জেলের মরদেহ এবং দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জীবিতরা কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মরদেহ গুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও গত শুক্রবার কক্সবাজার প্রশাসন আরও চারটি মরদেহ উদ্ধার করলেও এগুলো মনির মাঝির ট্রলারের নিখোঁজ পাঁচজনের কেউ নয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্বজনরা। শনিবার দুপুরে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া মনির মাঝির ট্রলারের পাঁচজন এবং শাহজাহান মাঝির ট্রলারের ১৫ জনসহ মোট ২০ জন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
মনির মাঝির ট্রলার ডুবির ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গত ৭ জুলাই রবিবার রাতে চরফ্যাশনের ঢালচর উপকূলে বঙ্গোপসাগরের শিবচর এলাকায় শাহজাহান মাঝির মাছধরা ট্রলারটি ১৫ জন জেলেসহ ডুবে যায়।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, নিহত জেলেদের লাশ দাফন এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্ধপ্রাপ্ত ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।