টিকিট বিক্রির শেষদিনেও স্টেশনে জনসমুদ্র

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির পঞ্চম ও শেষ দিন আজ। শনিবার ( ২৫ মে) সকাল ৯টায় টিকিটি বিক্রি শুরু হবে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজ বিক্রি হবে ৪ জুনের টিকিট। টিকিট নিতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও শনিবার (২৫ মে) বিকেল থেকেই অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর রবিবার (২৬ মে) ভোর হতেই মানুষের সারিবদ্ধ লাইন স্টেশনের বাইরে চলে যায়।

কিন্তু লাইনে থাকা সবার উদ্বেগ একটাই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাবো তো। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় বেশি। লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামাল হোসেন। ঈদের আগের দিন রংপুর যাবেন তিনি। এসেছেন রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে। কিন্তু তিনি যখন এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তখন প্রায় সকাল ৬টা বাজে। আর ততক্ষণে উত্তরবঙ্গগামী কাউন্টারগুলোর সামনে মানুষ আর মানুষ। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন কাউন্টারের সামনে থেকে বাইরের রাস্তায় গিয়ে ঠেকেছে। তিনি তখন সেই লাইনেরই পেছনের দিকে। বলছেন টিকিট পাওয়া না পাওয়ার উদ্বেগের বিষয়টি।

দুর্ভোগ কমাতে এবারই প্রথম রাজধানীর পাঁচটি স্থানে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনটাই বলছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, প্রচারের অভাবেই সবাই কমলাপুর ভিড় করছেন। মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে রেলসেবা অ্যাপ।

অ্যাপস চালুর পর ঈদের ট্রেনের আগাম টিকিট কেনায় ভোগান্তি কমবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সেই অ্যাপস ঠিকমতো কাজ না করায় ভোগান্তি দ্বিগুণ হয়েছে টিকিটপ্রত্যাশীদের।

অ্যাপসের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করে ব্যর্থ হয়ে তাদের ছুটতে হচ্ছে রেলস্টেশনে। সেখানে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। ফলে স্টেশনগুলোয় এখন উপচেপড়া ভিড়।

রাজধানীর যে পাঁচটি স্থানে টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেগুলো হলো-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়াও তেজগাঁও, বনানী এবং ফুলবাড়িয়া।

রেল সূত্র জানায়, আগামী ২৯ মে থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের, ১ জুন ১০ জুনের ও ২ জুন ১১ জুনের ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে।

এবার ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অ্যাপ বা অনলাইনে। তবে আজও রেলওয়ের সার্ভারে ঢোকা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের।

নুরুজ্জামান কাজল নামের টিকিট প্রত্যাশী বলেন, না হলেও পঞ্চাশবারের মতো চেষ্টা করেছি অ্যাপে ঢুকার জন্য কিন্তু পারিনি। সেবাই যদি দিতে না পারে তাহলে এসবের দরকার কি। শুধু শুধু মানুষকে কষ্ট দেয়ারতো কোনো মানে হয় না।

অ্যাপে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ আরেক টিকিট প্রত্যাশী মোহাম্মদ সালাম বলেন, অ্যাপসের পেছনে সময় ব্যয় করে এখন পস্তাচ্ছি। কালকে সন্ধ্যা থেকে অ্যাপে ট্রাই করে না ঢুকতে না পেরে শেষমেষ রাত ১১টার দিকে বিমানবন্ধর স্টেশনে এসেছি। এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। না হলেও একশ মানুষের পেছনে আমি। জানি না টিকিট পাবো কিনা।

Scroll to Top