এবার ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

আসন্ন অর্থবছরে দেশের বাজেটের আকার পাঁচ লাখ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ইফতারের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এবার যে নতুন বাজেট আমরা দিতে যচ্ছি, পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার উপরে আমাদের এই বাজেট হবে, দুই লক্ষ কোটি টাকার ওপর হবে উন্নয়ন বাজেট।’

আগামী ১৩ জুন জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি। সমগ্র দেশব্যাপী উন্নয়ন করার জন্যই বছর বছর বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আয়োজিত এই ইফতারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সরকারবিরোধী শিবিরেরে নেতাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা ছিলেন না বললেই চলে। আওয়ামী লীগের আদর্শিক মিত্র ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিও ছিল অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কিছুটা কম।

ইফতার মাহফিলে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব দলের সঙ্গে নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপ করেছিলাম, তাদের সকলকে দাওয়াত দিয়েছি ইফতারে। অনেকের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা এসে এই গণভবনের এই মাটিকে ধন্য করেছেন।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই বাংলাদেশে এক সময় অনেকেই খাবার যোগাড় করতে পারতো না। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, মানুষ যেন সুন্দর মতো বাঁচতে পারে, মানুষের জীবন যেন অর্থবহ হয়- সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জাতির পিতা এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এ দেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকটা মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে। সংবিধানের আলোকে আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ। আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে যাবে পৌঁছে দেওয়া। এই বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। ইনশাআল্লাহ বাংলাদশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত করব।’

সবার কাছে দোয়া চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদক-দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’

Scroll to Top