সব ধর্মই শান্তির কথা বলে : প্রধানমন্ত্রী

‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে বসবাসকারী সবাই সম্মানের সাথে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন। সোমবার (২০ মে) সকালে গণভবনে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাই যার যার ধর্ম সম্মানের সাথে, নিষ্ঠার সাথে, স্বাধীনভাবে পালন করবেন সেটাই আমরা চাই।
সকল ধর্মের মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে, সম্মানের সাথে, স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সফলতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। এটাই বিশ্বাস করি যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এভাবেই বাংলাদেশে উৎসবগুলো পালন করা হয়, যে ধর্মের উৎসবই হোক, সবাই মিলেই কিন্তু সেটা উদযাপন করে।

\"\"

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনটা সঠিক, কোনটা সঠিক নয় সে সিদ্ধান্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, আমাদের সৃষ্টিকর্তা নেবেন। সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব কিন্তু কোনো মানুষকে সৃষ্টিকর্তা দেননি।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহনশীলতা ও এই ভ্রাতৃত্ববোধ সবার মাঝে থাকুক। যেকোন সম্প্রদায় যেন নিজেদের অবহেলিত মনে না করে।

সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এগুলো এখন সারা বিশ্বে সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আসলে জঙ্গি জঙ্গিই, তাদের কোনো ধর্ম নাই, দেশ নাই, সমাজ নাই। তারা জঙ্গি এটাই হলো বাস্তবতা। সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রেখে আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে চাই।

উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, ধর্ম-বর্ণ দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষেরই জীবনমান উন্নত হোক সেটাই আমরা চাই।

দারিদ্র্যের হার হ্রাসের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাই বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্যমুক্ত হবে। বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

Scroll to Top