মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশের ছিটকে পড়া ফ্লাইটের আরোহীদের আনতে সেখানে যাওয়া বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। তবে এ ফ্লাইটে দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটির কোনো যাত্রী দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বিশেষ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।
তিনি বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরে এসেছে। তারা অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন। যারা দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, তাদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি চারজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। অনেক আনুষ্ঠানিকতার বিষয় আছে। সেগুলো সম্পন্ন করে দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের আনা হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াংগুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঝড়ের কবলে পড়ে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় ৩০ জন আহত হন; তবে কারোর অবস্থাই গুরুতর নয়।
শাকিল মেরাজ সমকালকে জানান, বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বিজি-০৬০ উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
তিনি জানান, কানাডার বোম্বার্ডিয়ারের তৈরি ড্যাশ-৮ বিমানটিতে এক শিশুসহ ২৯ যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন দু\’জন পাইলট এবং দুই ক্রু। উড়োজাহাজটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী সমকালকে জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ১৯ জনকে ইয়াঙ্গুনের প্রধান হাসপাতালে এবং ১০ জনকে বিমানবন্দরের কাছে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। আশা করা হচ্ছে তারা দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন।