মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে পদ্মা সেতুর ১২তম স্প্যান বসানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের উপর এ স্প্যান বসানো হয়। এরই মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
এ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকৌশলী সূত্র। জানা গেছে, পরবর্তীতে স্প্যানটি সেতুর ২৮-২৯ নম্বর পিলারের উপর স্থানান্তর করা হবে। ২৮ ও ২৯ পিলারের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবং স্প্যান রাখার জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে এটি অস্থায়ীভাবে ২০-২১ নম্বর পিলারের বসানো হয়েছে।
এর আগে ৫-এফ নম্বর স্প্যানটি গত শুক্রবার বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তা বাতিল করা হয়।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ৫-এফ নম্বর স্প্যান নিয়ে রওনা হয় ৩ হাজার ৬০০ টন ধারন ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। সকাল ১০ টার দিকে স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেন সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছে। এর পর টানা আড়াই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে ১২তম স্প্যানটি সেতুর উপর বসানো হয়।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে আরও জানা যায়, পদ্মা সেতুতে ২৯৪ পাইলের মধ্যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩২টি পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ২৫টি পিলারের। বাকি ১৭টি পিলারের কাজ চলছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো হয়েছে ১২টি স্প্যান। আরও ২৯টি স্প্যান বসবে। এ ছাড়া ১৩তম স্প্যানটি মে মাসেই বসানোর কথা রয়েছে।
অন্যদিকে জাজিরায় স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছে। সম্পন্ন সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২২টি স্প্যানের মধ্যে ১১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের ব্যায় হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।