বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন লন্ডনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়জনিত কারণে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সরেজমিনে মাঠে কাজ করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে গেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সহায়তা করার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে আজ উপকূলীয় এলাকায় আকাশপথে জরিপ কাজ পরিচলনা করা হচ্ছে।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত-পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক পর্যালোচনা সভা করেন। তিনি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের নির্দেশ দেন। সরকার প্রণীত দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে মুখ্য সচিব তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন।