ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ৪ঠা মে শনিবারের এইচএসসি ও সমমানের সব বিষয়ের পরীক্ষা ১৪ই মে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় \’ফণী\’ অতি শক্তিশালী রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য থেকে উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। ঘন্টায় ১৬০-১৮০ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ইতোমধ্যেই ৭ নম্বর ও চট্টগ্রামকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করে যদি বাংলাদেশে আসে, তাহলে এর যে বর্তমান বাতাসের শক্তি তার চেয়ে হয়তো কম শক্তিতে বাংলাদেশে আসবে। ভারতের উপকূল অতিক্রম না করলেও ফনী বাংলাদেশে আসছে তা নিশ্চিত, সেটা যেকোনও ভাবেই হোক। ফনী যদি ভারতের ওড়িশা অতিক্রম না করে সরাসরি বাংলাদেশে আসে তবে এর ভয়াবহতা বেশি হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। ৬ই মে পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এবার সারা দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন।
আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম এ ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এদিকে, গত বছরের তুলনায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ হাজার ৪৮ জন আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১১৮টি এবং পরীক্ষা কেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি। এবার ২ হাজার ৫৭৯ টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।