সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
তার শরীরে লাগানো অ্যান্ডো ট্র্যাকিয়াল টিউব খুলে ফেলা হয়েছে, স্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান তার ফেসবুকে ওবায়দুল কাদেরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কেবিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী ও মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি।
ছবিতে দেখা যায় দু\’জন চিকিৎসকের মাঝে বসে আছেন ওবায়দুল কাদের। তার ডান ও বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ।
ডা. এনামুর রহমান ফেসবুকে আরও লিখেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাই ক্রমেই সুস্থ্য হয়ে উঠছেন। তার রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস-ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিয় নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে এমন সুখবরই দিলেন প্রিয় নেতার সহধর্মিনী এডভোকেট ইসরাতুন্নেসা কাদের ভাবী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, প্রিয় নেতার সাথে তাঁর কেবিনে সাক্ষাত হলো, কথা হলো। সেই মূহুর্তগুলো ছিলো ভাষাহীন। পরস্পরের দিকে আমরা তাকিয়ে। টানা এক মাসের উৎকণ্ঠায় থাকা মনটা কখন আবেগে তলিয়ে গেছে- খেয়াল করিনি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, চোখ দুটো ভিজে গেছে। অশ্রুসজল কাদের ভাইও। তার মলিন মুখে স্মিত হাসি দেখে মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করলাম। কৃতজ্ঞতায় বললাম, আল্লাহ আপনিই একমাত্র ভরসা।
ডা. এনামুর রহমান ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা) এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী ভাই জানালেন, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে কাদের ভাইয়ের বাইপাস সার্জারীর পর আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করার পর এখন বেশ ভালো আছেন দেশ বরেণ্য প্রিয় নেতা কাদের ভাই।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওবায়দুল কাদের। ওই দিনই ঢাকায় বিএসএমএমইউতে তাৎক্ষণিক ও জরুরি চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার হৃদযন্ত্রে একটি রিং বা করোনারি স্ট্যান্ট পরানো হয়। পরদিন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।