ব্যঙ্গ কার্টুন প্রিন্ট করা টিশার্ট পুড়িয়ে মালিকপক্ষ শান্ত করলো ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের

ব্যঙ্গ কার্টুন প্রিন্ট করা টিশার্ট পুড়িয়ে মালিকপক্ষ শান্ত করলো ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের
পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মালিকপক্ষ আপত্তিকর ছবিসহ প্রিন্ট করা ১৭৫০ পিছ টিশার্ট আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন - সংগৃহীত ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় ব্যঙ্গ কার্টুন প্রিন্ট করা নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে মালিক পক্ষ দেড় হাজার টিশার্ট পুড়িয়ে ও ক্ষমা চেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করেছে।

আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় অবস্থিত এসরোটেক্স গার্মেন্টসে।

এদিকে একই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পর শাসনগাও বিসিক নগরীতে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বাইরে বের হয়ে এসে বিক্ষোভ করে অন্তত ৭/৮ টি কারখানায় ঢিল ছুঁড়ে ও ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জানা যায়, ছবিসহ প্রিন্ট করার জন্য ৪ হাজার পিস টিশার্টের অর্ডার পায় এসরোটেক্স গার্মেন্টস। এতে সম্প্রতি তারা ছবিসহ ১৭৫০ পিছ টিশার্ট তৈরি করে। এসব টিশার্ট সৃষ্টির প্রথম মানব আদম হাওয়া নিয়ে ব্যঙ্গ করার মতো মানহানিকর মনে হওয়ায় মালিকপক্ষের কাছে আপত্তি জানায় শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের আপত্তি আমলে না নিয়ে অর্ডারের বাকি কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বুধবার সকালে বাইরে বের হয়ে আসেন। এরপর ওই কারখানার কয়েকশ শ্রমিক বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পেওঁছে শ্রমিকদের অভিযোগ শুনে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। দীর্ঘ আলোচনায় মালিকপক্ষের লোকজন আপত্তিকর ছবি টিশার্টে প্রিন্ট করায় ভুল স্বীকার করেন।

এরপর প্রকাশ্যে শ্রমিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছেন ওই কারখানার কর্মকর্তা জুবায়ের। তারপর পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আপত্তিকর ছবিসহ প্রিন্ট করা ১৭৫০ পিছ টিশার্ট তিনি নিজ হাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। এরপর শ্রমিকরা কাজে ফিরে যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সুপার শারমিন, জেলা পুলিশের ‘ক’ সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নাজমুল হাসান, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, আতাউর রহমান মেম্বার।

এ ঘটনায় কয়েক ঘণ্টাপর ওই কারখানা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফতুল্লা বিসিক নগরীতে কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে অন্তত ৭/৮টি কারখানায় ঢিল ছুঁড়ে ও ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের শান্ত করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, ব্যঙ্গ করা ছবি দিয়ে তৈরি টিশার্ট পুড়িয়ে দিয়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি পূরণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।