ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে নেত্রীর কথাও শুনবো না: সাংসদ শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের অনেকেই লন্ডনে থাকা নেতার কথায় নাচতাছেন। যে নেতায় নিজের মা মরে মরে, আসে না আর আপনার জন্য আসবে কোন দুঃখে। যার মায়ের প্রতি দরদ নাই তার আবার দেশের প্রতি দরদ কেন? সে আসতে না পারলে তার বউ তো অনেক বড় ডাক্টার, অনেক শিক্ষিত একজন ডাক্টার। আচ্ছা বুঝলাম বউ বোধহয় স্বামীকে ভালোবাসে। স্বামীকে ফেলে আসতে পারবে না। নাতনি তো আছে। সে তো আসতে পারতো। সেও আসেনি। এমন নেতার কথায় আপনারা নাচানাচি করছেন। নাইচ্চা যদি গর্তে ঢুকেন তাহলে আমাদের বিচ্ছু বাহিনী কিন্তু ঠিকই হাত দিয়ে বের করে নিয়ে আসবে।’

আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

বিএনপি জামায়াত ইসলামের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, ‘এবার আগুন দিবেন, মানুষ পুড়িয়ে মারবেন সেটা আর হবে না। এবার যদি এমন কিছু হয় তাহলে সব সময় আমি আমার নেত্রীর কথামত আমি কাজ করি। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনাও যদি বলেন, শাস্ত হও তাও হবো না। এবার কেউ কারো কথায় শুনবে না।’ আপনাদের নেতা লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আর আপনি নাচবেন তা হবে না। ওর তো কিছু হবে না। ফাঁসবেন তো আপনি। সাহস থাকলে নেতাকে লন্ডন থেকে দেশে আসতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশ থেকে অনেক টাকা আসতেছে দেশে নাশকতা করার জন্য। বিএনপির জেষ্ঠ্য নেতাদের হত্যা করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাবে। রাজধানীর কস্তুরী হোটেলের সামনে জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদের উপর হামলা হয়েছে। পুলিশ হত্যা চেষ্টাকারীকে আটক করেছে। সে ভাড়াটে কিলার। আটককৃত কিলার পুলিশকে জানিয়েছে, সাবেক এমপি গিয়াসের ছেলে রিফাত তাঁকে ভাড়া করেছে মামুনকে হত্যা করার জন্য। যদি মামুন মরে যেতো তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর দোষ চাপাতো।’

শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের জন্ম, তোমরা আমরা নেত্রীকে গালি দিবা, শেখ হাসিনাকে অশ্লীল কথা বলবা, তোমরা রাজপথ দখলে নিবা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে ভাংচুর করবা, ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিবা, জননেত্রীকে হত্যার হুমকী দিবা, আমরা কি এটা মেনে নিতে পারি? আগামীতে খেলা হবে, তোমরা যে ভাষায় খেলতে চাও সে ভাষায় খেলা হবে। দেশে নানা ধরনে ষড়যন্ত্র হবে, যতো যাই হোক, ইনশায়াল্লাহ ২০২৪ সালে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবে।’

শামীম ওসমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আঘাত আসবে ধৈর্য্য ধরে তা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা রাজপথে আছি, আমরাই রাজপথে থাকবো। আগামী নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে কোন কোন্দল দেখতে চাই না। দলের নেতাকর্মীতের মধ্যে বিরোধ দেখতে চাই না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।’

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, ওয়ালী মাহমুদ খান, খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, শহিদুল্লাহ, আশরাফুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, এমএ মান্নান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, আওয়ামী লীগের থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক প্রমুখ।