ময়মনসিংহে প্রায় দুই কিলোমিটার রেল পথ সংস্কারে সুরকি-বালু

ময়মনসিংহ বিভাগঃ ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে কেওয়াটখালী লোকোশেড প্রায় দুই কিলোমিটার পথ। রেলের এ পথে সংস্কার কাজ চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। তবে সংস্কার কাজে পাথর নয়, ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্ন মানের ইটের সুড়কি ও বালু। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই রেললাইনে ইটের খোয়া এবং সুরকি দিয়ে সংস্কার কাজ চলছে।

সূত্র বলছে, স্টেশন থেকে লোকোশেড পর্যন্ত ২ দশমিক ১ কিলোমিটার রেললাইন সংস্কারের বরাদ্দ হয় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, এখানে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। যে লাইনে সংস্কার চলছে সেটা দিয়ে মূলত ইঞ্জিন চলে। লাইনটি নিচু হয়ে গেছে বলে সুরকি ফেলে উঁচু করা হচ্ছে। কারণ পানিতে কাঠগুলো পচে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। তবে লাইনে পাথরের পরিবর্তে সুরকির ব্যবহার রেলের জন্য হুমকি জানিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত হোসেন জানান, পাথরের সহ্য ক্ষমতা আর ইটের সহ্য ক্ষমতা এক নয়।

এটা হওয়ার কথা নয়, যদি হয়ে থাকে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে বিস্তারিত জানতে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসানকে মোবাইল ফোনে সংস্কার প্রকল্পের কাগজপত্র নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেও তিনি আসেননি। এ প্রসঙ্গে আয়েশা হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি প্রকৌশলীকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম।

কিন্তু তিনি আসেননি। তিনি জানান, রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাজে দেখভাল করলেও এ ব্যাপারে কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। এমনকি যে কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার প্রকল্পে কাজের ধরন নিয়ে সাইনবোর্ড লাগাতে হয়। কিন্তু রেলওয়ের এই সংস্কার কাজে কোনো সাইনবোর্ড নেই।

এদিকে রেললাইন সংস্কারে ইট-বালুর ব্যবহারে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। জনমনে সৃষ্ট হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আলী ইউসুফ নামের একজন নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী লোকোশেডে যেতে রেলের স্লিপারে ইট! তাও আবার দুই নম্বর। রেললাইনে ইট, বালু। কেউ কি কোনো দিন দেখেছেন।

Scroll to Top