আমরা প্রতিদিনের জীবনে নানা রকমের ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করি বা দেখতে পাই। তবে এসব ব্র্যান্ডের লোগো সূচনার ইতিহাস কি আমাদের কি জানা আছে? চলুন জেনে নেয়া যাক বিখ্যাত কয়েকটি ব্র্যান্ডের কয়েকটি লোগোর ইতিহাস এবং এর পেছনের চমকপ্রদ ঘটনাগুলো।
হুন্দাই
এই লোগোটির এইচ অক্ষরটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। একজন যিনি গ্রাহক আরেকজন হচ্ছে বিক্রয় প্রতিনিধি। তাদের দুইজনের মধ্যে করমর্দন করছেন।
অ্যাডিডাস
অ্যাডিডাসের বর্তমানের লোগোতে তিনটি স্ট্রাইপ এক সমান্তরালে দেখা যায়। যেগুলো একসঙ্গে তৈরি করে একটি ত্রিভুজের। এর অর্থ হচ্ছে একটি পাহাড় বা প্রতিবন্ধকতা যা খেলোয়াড়কে প্রতিনিয়তই পার করতে হয়।
অ্যাপল
এই বিখ্যাত কোম্পানির বিখ্যাত লোগোটির ডিজাইনার হচ্ছেন রব জ্যানোফ। তিনি এক সাক্ষাতকারে সেটির বর্ণনায় বলেন, তিনি এক ব্যাগ আপেল কিনে সেটি একটি বাটিতে রাখেন। এক সপ্তাহ ধরে সেগুলোকেই আঁকার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। ছবিগুলো ভেঙে কিছু সাধারণ করতে গিয়েই তৈরি হয়ে যায় বিখ্যাত এই লোগোটি।
অ্যামাজন
অ্যামাজনের কমলা রঙের তীর চিহ্নটি দিয়ে একটি হাসি বোঝায়। কারণ কোম্পানিটি চায় গ্রাহক বা ভোক্তা খুশি থাকুক। এছাড়া এর মাধ্যমে আরো একটি অর্থ প্রকাশ করা হয়। খেয়াল করলে দেখবেন, এই চিহ্নটি ইংরেজি অক্ষর এ-জেড পর্যন্ত টেনে নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি গ্রাহকের কাছে চিন্তার মধ্যে থাকা সবকিছুই বিক্রি করতে পারে।
টয়োটা
এই লোগোটির একটি শৈল্পিক অর্থ আছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে একটি সুঁচের ভেতর সুতা ঢুকছে। এই লোগোটি দিয়ে কোম্পানিটি তার অতীত ব্যবসায়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। অর্থাৎ তারা আগে যে সেলাই মেশিন উৎপাদন করতো সেটির কথা।
ফরমুলা ওয়ান
গাড়ির জগতের সবাই একনামে চেনেন ফরমুলা ওয়ান ব্র্যান্ডটিকে। এফ অক্ষরের পরে একটি লাল গতিযুক্ত দাগ দিয়ে ওয়ান অক্ষরটি লেখা হয়েছে।
পিনটারেস্ট
ইন্টারনেট জগতে মানুষ যেসব ছবি তুলে থাকে সেগুলো এই পিনরেস্টে জমা রেখে একটা বোর্ডে পিন করে রাখতে পারে। যার কারণেই পি অক্ষরটিকে একটি পিনের মতো দেখা যায় এই লোগোটিতে।
বিএমডব্লিউ
জার্মান অধিভুক্ত বেভারিয়ান দ্বীপের পতাকার সঙ্গে মিলে যায় এই লোগোটি। আর এই অঞ্চল থেকেই কোম্পানিটির উৎপত্তি।
এলজি
এই শৈল্পিক লোগোটি একটি মানুষের চেহারার মতো। কোম্পানির মতে তাদের সঙ্গে গ্রাহকের যে মানবীয় সম্পর্ক বিদ্যমান সেটির নির্দেশ করে এটি।
কোকাকোলা
১৮৮৬ সালের মে মাসের ৮ তারিখে ড. জন এস পেম্বারটন এই বিখ্যাত পানীয়টির ফর্মুলা আবিষ্কার করেন। তবে তার হিসাবরক্ষক ফ্র্যাঙ্ক এম রবিনসনের মাথা থেকে এই নামটির তৈরি হয়। তার মতে, দুটি সি অক্ষর বিজ্ঞাপনের জন্য বেশ মানানসই হবে। আর এভাবেই হয়ে গেল লোগোটি।