অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিলেন মোবাইল ফোন। সেই মতো নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারিও হয় প্যাকেট। কিন্তু, সেই প্যাকেট খুলে চোখ ছানাবড়া, প্যাকেটের ভেতরের যে দু\’টি কাপড় কাচার সাবান!
এমন ঘটনারই সাক্ষী হয়েছেন ভারতের কলকাতার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় বাগুইআটি এলাকার বাসিন্দা নীরজ কুমার ও তার স্ত্রী প্রীতি কুমার।
নীরজ একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তার স্ত্রী একটি স্কুলের শিক্ষিকা। বুধবার নীরজ বলেন, \’২০-২৩ জানুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন শপে সব ধরনের কেনাকাটায় বিশেষ ছাড় ঘোষণা করে। সেই ছাড় দেখেই ২০ জানুয়ারি একটি মোবাইল ফোনের অর্ডার দিয়েছিলাম। সেখানে পুরনো মোবাইল বিনিময়ের সুযোগও ছিল।\’
তিনি জানান, স্ত্রীর একটি পুরনো মোবাইল বিনিময় করার শর্তে অনলাইনে ৫ হাজার ৮৯৯ রুপি পেমেন্টও করেন।
নীরজ বলেন, \’পরের দিনই অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি আমার কাছে একটি এসএমএস আসে। সেখানে ওই অনলাইন শপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি মোবাইল ফোনটি ডেলিভারি করা হবে।\’
সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মোবাইল ফোনটি ডেলিভারি দিতে আসেন দুই যুবক— একথা জানিয়ে নীরজ বলেন, \’সেই সময় আমার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন।ওরা স্ত্রীর মোবাইলে আসা ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) মিলিয়ে দেখে ডেলিভারি দিয়ে যান। নিয়ে যান প্রীতির পুরনো ফোনটিও।\’
তিনি বলেন, \’এর পর ঘরে ঢুকে ডেলিভারি প্যাকেট খোলেন প্রীতি। প্রথমেই চোখে পড়ে যে মোবাইল তিনি অর্ডার দিয়েছিলেন, ডেলিভারিতে আসা মোবাইলের বাক্সটি সেই একই কোম্পানির হলেও মডেল আলাদা। এর পর বাক্স খুলে আক্কেল গুড়ুম! বাক্সে মোবাইলের বদলে কাপড় কাচার দু\’টি সাবান! সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষীদের বলেন ডেলিভারি দিতে আসা যুবকদের খোঁজ করতে। কিন্তু ততক্ষণে তারা চলে গেছেন।\’
প্রীতির অভিযোগ, \’এর পর ভালো করে খেয়াল করে দেখি মোবাইলের বাক্সের সিল ঠিক করে আটকানো নেই। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল, সিল ভাঙা হয়েছে।\’
এর পরই অনলাইন ওই সংস্থাকে ফোন করে অভিযোগ জানান নীরজ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে দেখে চার-পাঁচ দিন পরে নীরজের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ওই সংস্থার হয়ে যারা এই ডেলিভারি করেন, তাদের দাবি, তারা যেভাবে প্যাকেট পেয়েছেন সেভাবেই ডেলিভারি করেছেন। মাঝ পথে কোথাও চুরি হতে পারে মোবাইল।
প্রায় ছ’হাজার রুপি এবং পুরনো মোবাইল খুইয়ে বৃহস্পতিবারই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই দম্পতি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা