শূন্যে ভাসা মজা বই কি৷ তবে তা অল্প সময়ের জন্যই৷ দিনের পর দিন নাওয়া-খাওয়া সবই যদি ভাসতে ভাসতে করতে হয়, নিশ্চয়ই তা খুবই বিরক্তিকর হওয়ার কথা৷ এই যেমন ধরুন, চুলে শ্যাম্পু করার কথাই৷
সুপারহিরোর মতো শূন্যে ভাসতে কে না চায়? কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যারা কাজ করেন, মধ্যাকর্ষণ না থাকায় পৃথিবীর অনেক সহজ কাজও তাদের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে৷ তবে অ্যাস্ট্রনাটরাও কি কম চালাক? কঠিন কাজ সহজ করে নিতে তারাও আবিষ্কার করছেন নতুন নতুন পদ্ধতি৷
ক্যারেন নিবার্গ এক্সপেডিশন ৩৬-এর একজন মহাকাশচারী৷ দীর্ঘদিন ধরে আছেন মহাকাশ স্টেশনে৷ নাসার এই মহাকাশচারী এবার দেখালেন, চুলে শ্যাম্পু করার মতো সহজ কাজও স্পেসস্টেশনে কতটা কঠিন হয়ে ওঠে৷ মধ্যাকর্ষণ না থাকায় অন্য সবকিছুর মতো চুলও মাথা ছেড়ে ওপরের দিকে চলে যেতে চায়৷ তাই আর সব কাজের মতো, শ্যাম্পু করাতেও নিতে হয় বিশেষ ব্যবস্থা৷
ভাসমান অবস্থায় চুল ধোয়ার জন্য প্রয়োজন নো-রিন্স শ্যাম্পু, এবং গরম পানি, চিরুনি এবং তোয়ালে৷ প্রথমে প্যাকেট করা গরম পানি দিয়ে মাথা ভেজাতে দেখা যায়৷ কিন্তু সেটাও এক সমস্যা৷ প্যাকেট থেকে পানি বের হতেই তা মাথায় না গিয়ে ভাসতে ভাসতে চারপাশে সরে যেতে থাকে৷ ফলে ভাসমান পানির কণাকে মাথার চুলে নিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হয়৷ সেই অল্প পানিই ভালো করে চুলে মাখিয়ে নিতে হয়৷
দ্বিতীয় ধাপে শ্যাম্পু নিয়ে একইভাবে চুলে লাগাতে হয়৷ কিন্তু যেহেতু স্পেস স্টেশনে শাওয়ার নেয়ার ব্যবস্থা নেই, তাই চুলের ময়লা মুছে ফেলতে হয় তোয়ালে দিয়ে৷ তারপর আবার একটু পানি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিলেই শেষ৷
তবে মহাশূন্যে চাইলেই অঢেল জিনিসপত্র পাওয়া যায় না৷ ফলে কোনকিছু যাতে একেবারে নষ্ট না হয়ে যায়, আছে সে ব্যবস্থাও৷ যে অল্প পরিমাণ পানি চুল ধোয়ার কাজে লাগলো, সেটিও বাষ্প হওয়ার পর প্রক্রিয়াজাত হয়ে পরিণত হবে খাবার পানিতে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ২২ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ