নিজেকে মুক্ত মনের অধিকারী মনে করেন। তাই ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়েই দাঁড়ান বেলজিয়ান মডেল মারিসা পাপেন। এর জন্য বেশ সুখ্যাতিও রয়েছে তার। কিন্তু নগ্নতার প্রকাশই তাকে যেতে হয়েছিল জেলে। কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা, সম্প্রতি তা জানালেন প্রসিদ্ধ মডেল। শেয়ার করলেন কিছু ছবিও।
নগ্নতা নিয়ে বরাবরই পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে ভালবাসেন মারিসা। একই মত পোষণ করেন ফটোগ্রাফার জেসে ওয়াকারও। দু’জনে মিলে ঠিক করেন প্রাচীন মিশরের ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে গিয়ে নগ্ন ফটোশুট করবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ফটোগ্রাফার-মডেল জুটি পৌঁছে যান মিশরে। সেখানে কাজও শুরু করে দেন। গিজার বিখ্যাত পিরামিডের নিরাপত্তারক্ষীকে ঘুষ দিয়ে পৌঁছে যান অন্দরে। সেখানে নগ্ন হয়ে ছবিও তোলেন মারিসা।
কিন্তু লুক্সোরের বিখ্যাত মন্দিরে নগ্ন হয়ে ছবি তুলতে গিয়েই ঘটে অঘটন। নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে পড়ে যান মারিসা-জেসে। সোজা দু’জনকে পাকড়াও করে পুরে দেওয়া হয় জেলে। জেলের অন্দরের কয়েকঘণ্টার অভিজ্ঞতা বেশ কষ্টকর বলে জানিয়েছেন মারিসা। গত দুই বছর ধরে পঞ্চাশেরও বেশি দেশে নগ্ন হয়ে ছবি তুলেছেন। কিন্তু প্রথমবার বাধা পেলেন মিশরে এসে। আর সোজা পৌঁছে গেলেন শ্রীঘরে।
মিশরের পুলিশকে নগ্নতার পবিত্রতা বোঝানোর প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন মিরসা। কিন্তু তাঁদের চোখে এ ছিল কেবলই অশ্লীলতা। পরে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে প্রায় দেড় হাজার ডলারের বিনিময়ে মুক্তি পান মডেল-ফটোগ্রাফার। তবে এই অভিজ্ঞতা মিরসার ওয়াইল্ড স্পিরিটকে দমাতে পারেনি। তাই নিজের নগ্নতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ভবিষ্যতেও রাখবেন বলেই জানিয়েছেন প্রখ্যাত মডেল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে