একের পর এক ১১ জন পুরুষকে বিয়ে করেছেন জারিয়াপর্ন নাম্মন বুয়াআই নামের ৩২ বছর বয়সী এক নারী। এর পর তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তুচ্ছ অজুহাতে পলায়ন করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
পুলিশের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিয়ের পর পালানোর আগে ওই নারী তার প্রত্যেক স্বামীর কাছ থেকে থাই রীতি অনুযায়ী যৌতুক হিসেবে ছয় হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলারের মতো অর্থ নিয়েছেন। প্রতিবারই তিনি কিছু তুচ্ছ অজুহাত দেখিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল, তাকে নিজ বাড়িতে ফলের ব্যবসার দেখভাল করতে হবে কিংবা তার রাশিফল বলছে, এই অসময়ে বিয়ে করা উচিত হয়নি।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো আরও জানায়, এই কাজে জারিয়াপর্ন এতটাই পটু ছিলেন যে, তিনি আগস্ট মাসেই চারবার বিয়ে করেন।
শুরুতে পুলিশ জানিয়েছিল, জারিয়াপর্নকে বিয়ের দাবি করেন ১২ পুরুষ। পরে সেই সংখ্যা ১১তে নেমে আসে।
থাই গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ফেসবুকে একটি পোস্টের পর ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে একে একে অভিযোগ করেছেন। তবে কে পোস্টটি করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ১১ স্বামীর একজন সেই পোস্টটি করেন।
ভুক্তভোগী পুরুষদের একজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ন্যাশনের খবরে বলা হয়, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে প্রায় একই কৌশল ব্যবহার করতেন ওই নারী। তিনি একজন পুরুষকে ফেসবুকে বন্ধু বানাতেন, তার সঙ্গে দেখা করতেন, শারীরিক সংসর্গে লিপ্ত হতেন। এরপর তাকে বিয়ে করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতেন।
থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়, ফলের বাগানের জন্য বিখ্যাত দেশটির নাখন পাথম প্রদেশ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে জারিয়াপর্নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তার কথিত আসল স্বামী থিতিরাত নংঘানপিতাককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৮ ঘণ্টা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ