ভালোবাসার দৌড়ে একেবারে এক নম্বরে নাম তুলে ফেলেছেন ব্যাংককের এক যুগল। চুমু খেয়ে নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। টানা ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড লিপ লক করে চুমু খেয়েছিলেন তারা।
২০১৩ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এটাই ছিল তাদের একে অপরকে দেওয়া সেরা উপহার। সামাজিকতার বাধা সেদিন তাদের সামনে পাত্তা পায়নি। তাদের নাম একাচাই ও লক্ষ্মণা তিরানারত৷
তবে কোনও পথই কুসুম পরিপূর্ণ হয় না। ভালোবাসার ক্ষেত্রে তো নয়ই৷ চুমু নিয়েও তাই হয়েছিল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় তাদের সঙ্গে ছিল প্রায় ১৪ জন প্রেমিক-প্রেমিকা। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। প্রেমিক-প্রেমিকাকে উৎসাহ দিতে বাজানো হয়েছিল রোম্যান্টিক গান।
পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছিলেন ৫০ হাজার থাই ভাট ও ১ লাখ টাকার থাই ভাটের ২টি হীরের রিং৷ ডলারে যার দাম সেদিন ছিল ১ হাজার ৬০৬ ও ৩ হাজার ২১৩ মার্কিন ডলার৷
প্রতিযোগিতা যখন, তখন নিয়মকানুন তো থাকবেই৷ ছিলও৷ সবচেয়ে বড় নিয়ম ছিল প্রেমিক বা প্রেমিকা একবার, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ঠোঁট সরাতে পারবে না৷ খিদে পেলে খাওয়াকেও গিলে ফেলতে হবে৷ এমনকী স্ট্র দিয়ে জলও খাওয়া যাবে না৷ তার থেকেও বড় ব্যাপার চুমু খাওয়ার সময় বসা বা শোয়া যাবে না৷ এক যুগল তো প্রতিযোগিতা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে হাল ছেড়ে দেয়৷ এমনভাবে ক্রমাগত দাঁড়িয়ে থেকে চুমু খাওয়া নেহাত সোজা কথা নয়৷ কিন্তু প্রেম বোধহয় মানুষকে সব সহ্য করিয়ে দেয়৷
এর আগে দীর্ঘতম চুমুর বিশ্বরেকর্ড ছিল এক জার্মান যুগলের হাতে৷ তাদের নাম নিকোলা মাতোভিক ও ক্রিস্টিনা রেইনহার্ট৷ ২০০৯ সালে রেকর্ড গড়েছিলেন তারা৷ সময় ছিল ৩২ ঘণ্টা ৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ড৷
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে