এমন একদিন আসবে যখন পৃথিবীর আকাশে আর কোনও গ্রহণই দেখা যাবে না। পূর্ণগ্রাস‚ খণ্ডগ্রাস‚ বলয়গ্রাস‚ কোনও কিছুই নয়। বলছে নাসার এক গবেষণাপত্র।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি‚ আজ থেকে ৫৬৩ মিলিয়ন বছর পরে পৃথিবী থেকে আর কোনও পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণই দেখা যাবে না। ৬০০ মিলিয়ন বছর পরে বন্ধ হয়ে যাবে সব রকমের গ্রহণ। কারণ প্রতি বছর পৃথিবী থেকে চাঁদ দূরে সরে যাচ্ছে।
এক বছরে মানুষের নখ যতটা বাড়ে‚ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বও ততটা বাড়ছে। প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার বা ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। পৃথিবীকে ছেড়ে সে ক্রমশ চলে যাচ্ছে সূর্যের কাছাকাছি। এমন একদিন আসবে যখন পৃথিবীর প্রেক্ষিতে চাঁদ এত ছোট হয়ে যাবে যে তার ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢাকবে না।
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বেড়ে গেলে আরও ব্যাপক প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটবে।
পৃথিবীর আবর্তন গতির উপর কমে যাবে চাঁদের প্রভাব। এই গ্রহে একটি সৌর দিন ২৪ ঘণ্টার বদলে হবে ২৭ ঘণ্টার। কারণ পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর যে লাট্টুর মতো বনবন করে পাক খাচ্ছে সেই আহ্নিক গতিবেগ হ্রাস পাবে। এক বছরে ৩৬৫ টির বদলে দিনসংখ্যা কমে যাবে।
পৃথিবীর মাটিতে আরও লম্বা হবে দিনের দৈর্ঘ্য। আরও অন্ধকার হবে রাত্রি। পূর্ণিমা‚ জ্যোৎস্না তখন বিগত দিনের ঘটনা। সূর্যগ্রহণও তখন অতীত। চাঁদ সূর্যের মুখ ঢাকলেও পৃথিবী থেকে অন্তত দেখা যাবে না।
আনুমানিক ৪০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি। চাঁদের জন্ম আরও ৫০ কোটি বছর পরে। সৃষ্টিলগ্নে পৃথিবী-চাঁদ দূরত্ব ছিল ২২ হাজার কিমি বা ১৪ হাজার মাইল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ২ হাজার ৩৩৬ কিমি বা আড়াই লক্ষ মাইল। – ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম