সাগরের ওপর দিয়ে পাখিটি হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। কিন্তু পথ হারায় না। যেমন, আর্কটিক টার্ন নামে পাখিটি দক্ষিণ মেরু থেকে উড়ে প্রতি বছর ব্রিটেনে আসে।
গ্রীষ্ম মৌসুম শেষ হলে এরা আবার দক্ষিণ মেরুতে ফিরে যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আর্কটিক টার্নের এই অসাধারণ ক্ষমতা কোথা থেকে আসে, কিভাবে তারা প্রতিবছর নির্ভুলভাবে একই জায়গায় পৌঁছে যায়, সেটা নিয়ে এখনো চিন্তা করছে তারা।
সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, সমুদ্রের ওপর দিয়ে পাখিরা যখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় তখন এই কাজে তাদের ঘ্রাণশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অক্সফোর্ড, বার্সেলোনা এবং পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সমুদ্রগামী পাখির ঘ্রাণশক্তি সাময়িকভাবে নষ্ট করে একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। এরপর পাখি আকাশে ওড়ার পর তারা দেখতে পান যে পাখিরা ভূমির ওপর দিয়ে ঠিকই উড়ে যেতে পারছে।
কিন্তু সমুদ্রের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় তারা দিকভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পাখিদের মস্তিষ্কে একটি ঘ্রণের মানচিত্র রয়েছে। সমুদ্রের ওপর তারা চোখে কিছু দেখতে না পেলেও গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিকই চলে যেতে পারে।
তবে এর আগে কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছিলেন পাখির ঘ্রাণশক্তি নষ্ট করলে তার অন্যান্য ক্ষমতাও নষ্ট হতে পারে। তাই হয়তো পাখিরা ঠিকমতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছুতে পারছিল না। কিন্তু সর্বশেষ এই গবেষণা সেই যুক্তিকে খণ্ডন করল বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে