যখনই তার খিদে পায় তখনই তিনি বিদ্যুতের শক নেন এবং তার খিদে মিটে যায়। সামগ্রিক ভাবে তিনি এর মাধ্যমে শক্তি পান। তার শরীরে বিদ্যুতের শকের কোনও প্রভাবও পড়ে না। তিনি নরেশ। নরেশ কুমার। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা তিনি।
৪২ বছরের নরেশ কুমার তার এই অদ্ভুত ক্ষমতার সম্পর্কে তখনই জানতে পারেন যখন তিনি হাই ভোল্টেজের একটি তারকে স্পর্শ করেন। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন। এখন নরেশ ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুতের তারকে খালি পায়ে জুড়ে দেন।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যেমন ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনের মতো কোনও জিনিস স্পর্শ করলে তিনি কোনও শক খান না। নরেশ তার জোড়ার আগে সুইচ অফ করেন না। বরং সুইচ অন করার সাথে তিনি সমস্ত কাজ নিমিষে করে ফেলেন।
নরেশ কুমার বলেছেন, যখনই আমার খিদে পায় বাড়িতে খাবার না থাকলে আমি শক খেয়ে নেই। প্রায় আধ ঘণ্টা এইরকম করলে আমার খিদে মিটে যায়। তাছাড়া শক্তিও বেড়ে যায়। আমার মনে হয় আমার শরীরের অর্ধেক অংশ এখন বৈদ্যুতিক শকে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবার পক্ষে এই রকম করা সম্ভব নয়। তবে আমার স্ত্রী এটার দ্বারা প্রভাবিত না হলেও অন্যরা প্রভাবিত। বিদ্যুত স্পর্শ করা মাত্রই নরেশের শরীরের যে কোনও অংশে টেস্টার লাগিয়ে টেস্টারের লাইটকে জ্বলতে দেখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে