বাঙালি অবিবাহিত তরুণীদের বেশির ভাগেরই বাড়িতে পারিবারিক অনুশাসনে থাকতে হয়। ফলে প্রেমিকের সঙ্গে ডেটে যেতে তাদের বেশকিছু অজুহাতের আশ্রয় নিতে হয়। এমন কিছু কমন অজুহাত নিয়ে এই আয়োজন-
১. অভিভাবকদের থেকে অনুমতি আদায়ে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা অজুহাত হলো পড়াশুনা। পড়াশুনার কেন্দ্রিক কোনো বিষয়ে কোনো অভিভাবকই বাধা দেন না। তাই সন্ধ্যার পর রোমান্টিক ডেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রধান অস্ত্র \’গ্রুপ স্টাডি\’। বন্ধুর বাসায় গ্রুপ স্টাডির নামে রোমান্টিক ডেটের অভিজ্ঞতা নেই এমন কম মেয়েই আছেন।
২. হঠাৎ করেই কোনো বন্ধুর জন্মদিন মনে পড়ে গেছে। কিংবা বন্ধুর বোন বা ভাইয়ের জন্মদিনের পার্টি। ফলে যেতেই হবে। না হলে বন্ধু কী মনে করবেন। সন্ধ্যার ডেটের ক্ষেত্রে এমন অজুহাত কারও কারও ক্ষেত্রে কমন।
৩. বন্ধু ফোন করেছে। বিকেল থেকে খুব জ্বর। ওর বাড়ির লোকজন আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। ফলে আজকের সন্ধ্যাটা ওর কাছে না থাকলে সেটা ভালো দেখায় না। কিংবা হাসপাতালে অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে যাওয়া। ডেটের আগে মেয়েদের এমন অজুহাতে বারণ তো দূরের কথা, অভিভাবকেরা ভাবেন, বাব্বাহ, তাদের মেয়ে কতো দায়িত্বশীল!
৪. চাকরিজীবী বলে যে বাঙালি মেয়েরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করেন তা কিন্তু নয়। তাদের ক্ষেত্রেও অনেক পারিবারিক বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে চাকরিজীবী মেয়েরা সন্ধ্যায় ডেটের ক্ষেত্রে প্রায়শই যে অজুহাতের আশ্রয় নেন সেটা হলো— অফিসে খুব কাজের চাপ পড়ে গেছে। ফিরতে দেরি হবে।
৫. বিউটি পার্লারে গেলে মেয়েদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। তাই ডেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা কার্যকর অজুহাত। পার্লারে যাচ্ছি বলে বিকেলে বাসা থেকে বের হলে, যত দেরিই হোক বাড়িতে সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ৪ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে